ভারতে ডলার পাচারের অন্যতম সেরা ওয়েবসাইট ভারতে কোটি কোটি ডলার পাচারকারীর তথ্য: MD SHAKIL ও FATIMA YEASMIN Address: Uttara Sec. 4, Road#7 House #8, Dakkinkhan, Dhaka-1230 safepaytm.com দীর্ঘদিন যাবৎ ডলার পাচার করে আসছে, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে […]
Pay2change এর অবৈধ ডলার পাচার ব্যবসার গোপন তথ্য ফাঁস! প্রমাণ সহ আজ আপনাদের কে দেখিয়ে দিব আশাকরি আপনারা মনোযোগ দিয়ে ডিটেইলস পড়ে দেখবেন। সাম্প্রতি সময়ে ধরা পড়ে যায় কিছু অবৈধ ডলার পাচারকারী সাইট ডলার পাচারকারী সাইটের অন্যতম শীর্ষে […]
আগামী চার বছরে আরএফ মিররলেস লেন্স লাইনআপে অন্তত ৩২টি নতুন মডেল যুক্ত করতে যাচ্ছে ক্যামেরা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যানন। এ ছাড়াও ‘পাওয়ারশট পিএক্স’-এর মতো নতুন ব্যতিক্রমী ডিজাইনের ক্যামেরার উপরও জোর দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ […]
এয়ার কন্ডিশনার বা এসি বিক্রিতে রেকর্ড করেছে ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। চলতি বছরে বাংলাদেশের বাজারে ৮২ হাজার ইউনিট এসি বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল ওয়ালটন। দুই মাস বাকি থাকতেই এসি বিক্রির টার্গেট ছাড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৮ সালের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারি […]
দেশে জনপ্রিয় হতে চলছে ভিত্তিক বাংলা ব্লগ এবং ওয়েবসাইট আজকের কৃষি ডটকম। শুধু বাংলা ব্লগ তাই না প্রতিদিন দেশের সকল কৃষি ভিত্তিক সংবাদ, তথ্য ও প্রচার করে থাকে এই ওয়েবসাইট আর সব চেয়ে বড় সেই সহযোগিতা টা করে […]
আসসালামু আলাইকুম পৃথিবীর সবচেয়ে বড় Tech Show CES এর ২০১৭ সালের মেলাতে বিভিন্ন টেকনলজিস্ট কম্পানী প্রতিবছরের মত এবারও তাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে। প্রযুক্তি এখন আলোর বেগে ছুটে চলছে তাই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আশ্চার্য প্রযুক্তি দেখা যাচ্ছে। এবার […]
মানুষ কতটা পশুসুলভ আচরণ করতে পারে সেটা আমাদের কমবেশি সকলেরই জানা আছে। পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত অনেক বড় বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে এবং প্রচুর পরিমানে প্রাণহানি ঘটেছে। সবগুলা যুদ্ধেরই প্রধান কারন ছিলো ক্ষমতা দখল কেন্দ্রিক। সভ্যতার শুরু থেকে বর্তমান […]
মানুষ কতটা পশুসুলভ আচরণ করতে পারে সেটা আমাদের কমবেশি সকলেরই জানা আছে। পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত অনেক বড় বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে এবং প্রচুর পরিমানে প্রাণহানি ঘটেছে। সবগুলা যুদ্ধেরই প্রধান কারন ছিলো ক্ষমতা দখল কেন্দ্রিক। সভ্যতার শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এখন পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রান হানি হয়েছে। অনেকে চিরো পঙ্গুত্ত বরণ করে নিয়েছে। যুদ্ধের এই অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি জানা সত্ত্বেও মানুষ একটুও পিছুপা হাটেনি বরং তাঁরা একের পর এক নতুন নতুন প্রান ঘাতি অস্ত্র আবিষ্কার করে চলেছে। নিশ্চয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা কেও ভুলে যাননি। আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো ঠিক তেমনি কিছু ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের সাথে যা পৃথিবীতে কালো অধ্যায় বলে পরিচিত হয়ে আছে।
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধকে বলা হয় সভ্যতার প্রথম অসভ্য যুদ্ধ। এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধটি প্রায় ৪ বছর যাবত স্থায়ী ছিল। যুদ্ধটিকে কেও কেও ইউরোপিয়ান মহাযুদ্ধ বলে ডাকে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি প্রথম যুদ্ধ যাকিনা একযোগে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে। চার বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে প্রান হারান প্রায় দেড় কোটি মানুষ এখানেই শেষ না, যুদ্ধ চলাকালীন আহত হয়েছেন প্রায় দুই কোটিরও বেশী মানুষ। যুদ্ধটি শুরু হয়েছিলো ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই এবং শেষ হয় ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর। এই যুদ্ধ চলাকালীন তিনটি সাম্রাজ্যর পতন হয়েছিলো। যুদ্ধটি শুরু হয় ১৯১৪ সালের ২৮ জুন হাঙ্গেরি সাম্রাজ্যর উত্তরাধিকারই আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফারদিনান্দের হত্যা কাণ্ডের মাদ্ধমে। এই যুদ্ধের কারন হিসেবে ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দের হাঙ্গেরির সাম্রাজ্যর বনসিয়া-হারযেগোভিনা দখল করা এবং আর্চডিউক কে হত্যা করাকে সবথেকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশ এই যুদ্ধে জড়িয়ে পরে। ফ্রান্স বরাবরই শত্রুতা করে আসছিলো বলে ব্রিটেন প্রথম দিকে জার্মানির সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করে আসছিলো কিন্তু পরবর্তীতে জার্মানি ফ্রান্সের সাথে জাহাজ উৎপাদন নিয়ে পাল্লা দেয়া শুরু করায় তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ফ্রাঙ্কো-প্রুশিয়ান যুদ্ধের পর থেকে জার্মানি ও ফরাসিদের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এমন ভয়াবহ রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। প্রথম যুদ্ধটি শেষ হবার প্রায় ২৫ বছর পরে আবারো নতুন করে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় এবং বেশি ধ্বংসকারী যুদ্ধ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ প্রায় ৬ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে গোটা পৃথিবী লণ্ডভণ্ড হয়ে পরে। এই যুদ্ধে প্রায় ৬ কোটির বেশি মানুষ মারা যায়। যার মধ্যে প্রাই অর্ধেকই ছিল রাশিয়ার বা সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিক। এতো প্রান হানির পেছনে ছিল গণহত্যা আর ব্যাপক অস্ত্রের ব্যবহার। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের জন্য একজন বেক্তিকে দায়ী করা হয় আর সে কেউ না কুখ্যাত অ্যাডলফ। হিটলারের নাৎসি বাহিনীর দ্বারা পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। মিত্রপক্ষ হয়ে যোগ দেয় যুক্তরাজ্য,ফ্রান্স,পোল্যান্ড,রাশিয়া ও গণচীন। আর জার্মানির সাথে ছিলো ইতালি ও জাপান।
একসঙ্গে পৃথিবীর অনেক জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিলো তাকে বলা হয় রাশিয়ার গৃহযুদ্ধ। ১৯১৭ সালের ২৫ অক্টোবর তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্য রাশিয়ার পতনের পরে এই যুদ্ধটি শুরু হয়। এই যুদ্ধটি “রেড আর্মির” সাথে “হোয়াইট আর্মির” দণ্ড নিয়ে শুরু হয়েছিলো। যুদ্ধটি শুধুমাত্র তাদের ২ পক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে বহু বিদেশি আর্মি “রেড আর্মির” বিপক্ষে দাড়িয়ে পরে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো “আলাইন্ড ফোর্স” এবং “প্রো জার্মান আর্মি”। অনেক স্বাধীনতাকামি আন্দোলন কারি দল এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, এবং পোল্যান্ড মিলে সোভিয়েত স্টেট করেছিলো। আর অন্যান্য যারা ছিল তাঁরা রাশিয়ার সাথে একমত হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠনের পক্ষে ছিল। ভয়াবহ এই যুদ্ধটি ১৯১৭ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত চলেছিল এবং প্রান হারায় প্রায় ৯০ লক্ষের মতো মানুষ।
আধুনিক আফ্রিকার ইতিহাসে সবথেকে ভয়াবহ যুদ্ধ বলতে গেলে এই কঙ্গো যুদ্ধকে বলা হয়ে থাকে। প্রথম যুদ্ধের রেস কাটতে না কাটতেই ২০০৮ সাথে এই দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধটি শুরু হয়। এতে প্রান হারান প্রায় ৫৪ লক্ষের মতো মানুষ। যুদ্ধের মুল ইস্যু ছিলো গণতন্ত্রকে প্রাধান্য দেয়া এবং প্রাকিতিক খনিজ সম্পদের প্রতি নিয়ন্ত্রন রাখা। এই যুদ্ধটি এতোটাই ভয়াবহ আকার ধারন করেছিলো যে স্বার্থের টানে ভাই ভাইয়ের রক্ত নিয়ে হলি খেলতে একটুও দ্বিধা বোধ করেনি। যুদ্ধ চলাকালীন অনেক লাখ লাখ মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশে যেয়ে আশ্রয় নেয়। খাদ্য আর অপুষ্টি এমন করুন পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছে যায় যে, যেটা দেখলে যে কারোর মন নারা দিয়ে উঠবে। কন মানুষের দ্বারা এমন করা সম্ভব সেটি সত্যি বিশ্বাস হবে না। অবশশে সবাই বশে ২০০৩ সালের আদলে নতুন করে অন্তর্বর্তী কালীন সরকার গঠন হলে এই যুদ্ধ থেমে যায়।
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে গণহত্যার জন্য কুখ্যাত মনে করা হয় ভিয়েতনাম যুদ্ধকে। যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ১৯৫৯ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত। আগাগোড়াই আমেরিকাকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানা হতো আর তাদের যুদ্ধ করার রেকর্ডে হেরে যাবার ঘটনা খুব কম। তবে ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকানরা হার মানে। যুদ্ধটি শুরু হবার মুল কারন ছিলো আমারিকান সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে। অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদ বা কমিউনিজম শাসন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে না পরে সে জন্যই তাঁরা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো। প্রাথমিক ভাবে এই যুদ্ধটি শুরু হয়েছিলো দক্ষিন ভিয়েতনাম আর উত্তর ভিয়েতনামের মধ্যে। পরবর্তীতে যখন আমেরিকা যুক্ত হয় তখন সেই যুদ্ধ আরও ভয়াবহ রুপ নেয়। আমেরিকা ভিয়েতনামে ১৯৬৫ সালে প্রচুর পরিমানে সৈন্য পাঠায় যার দরুন এই যুদ্ধ আরও বেশীদিন ধরে দীর্ঘায়ীতো হয়। পরে ১৯৭৫ সালে ২ ভিয়েতনাম এক হয়ে যাবার কারনে আমেরিকা আর জয় লাভ করতে পারেনা।