রান্নায় রসুন না দিলে কী ভালো লাগে খেতে? স্বাদে ও গন্ধে অনন্য এই খাবারটি মশলা হিসেবে বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয়। রসুন স্বাস্থ্যের জন্য বিস্ময়কর একটি উপাদান। রসুনে আছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, আঁশ,ফলিক এ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রণ এবং প্রোটিন। রসুনে সোডিয়ামের পরিমাণ কম এবং এতে কোন ফ্যাট নেই। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে রসুনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং নিরাময় গুন দুটোই রয়েছে। তাই প্রতিদিন রান্নায় এবং খাবারের সাথে কাঁচা রসুন খেলে শরীর সুস্থ্ থাকবে। আসুন জেনে নেয়া যাক রসুনের ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
অ্যাঙ্গিওটেন্সিন নামের একটি প্রোটিন আছে যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। রসুনের আল্লিকিন নামক উপাদান অ্যাঙ্গিওটেন্সিনের কার্যকারীতা কমিয়ে দেয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও রসুনে উপস্থিত পলিসালফাইড হাইড্রোজেন সালফাইডে রূপান্তরিত হয়। হাইড্রোজেন সালফাইড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে রসুন খাওয়ার চেষ্টা করুন।
হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে
নিয়মিত রসুন খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। রসুন রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে এবং রক্তনালীর বাঁধা দূর করে। এছাড়াও রসুন রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন রকম সমস্যার ঝুঁকি কমে যায় অনেকটাই।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
প্রতিদিন অন্তত এক কোয়া করে রসুন খেলে অনেক ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ব্রেস্ট ক্যান্সার ও অন্যান্য কিছু প্রাণঘাতী ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে রসুন অনন্য। এছাড়াও যারা প্রতিদিন ১০ গ্রামের বেশি পরিমাণে রসুন খান তাদের প্রষ্টেট ক্যাসার হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেক কম।
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল রোগের ঝুঁকি কমায়
রসুন এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ভাইরাল গুনের জন্য জনপ্রিয়। ইকোলাই এবং টাইফয়েড জীবাণু ধ্বংস করার মতো ক্ষমতা রাখে রসুন। এছাড়াও ভাইরাস জনিত জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদির প্রকোপ কমাতে সহায়তা করে রসুন। রসুনের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতার কারণে নিয়মিত রসুন খেলে পেটে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ফলে রসুন খেলে পেটের সমস্যা কমে।
ওজন কমায়
বেশ কিছু গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে নিয়মিত রসুন খেলে ওজন কমে। গবেষকদের মতে নিয়মিত রসুন খেলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে না। নিয়মিত রসুন খেলে কোমরের পরিধি কমে যায়। তাই প্রতিবেলার খাবারের সাথে এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খান। যে কোনো তৈলাক্ত খাবার খেতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে রসুন খেতে হবে। তাহলে চর্বি জমার হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন