বাস্থ্যই সকল সুখের মূল – সর্বজনবিদিত এ কথাটি আর নতুন কওে বলার অবকাশ নেই। শরীর অসুস্থ থাকলে কোনো কিছুই ভালো লাগে না। আর নানা ধরনের অসুখ-বিসুখের জন্মদাতা হলো অতিরিক্ত ওজন। তাই ওজন নিয়েও
মানুষের চিন্তার অন্ত নেই। কী করলে ওজন কমবে, কী খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে – এসব নিয়ে গবেষণারও অন্ত নেই! ওজন নিয়ন্ত্রণে অন্যতম উপায় হলো পরিমিত আহার এবং নিয়মিত কায়িক শ্রম। কিন্তু এসব করা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। রোজকার দৌড়ঝাঁপের জীবনের ঠিকমতো খাবার সময়টাও মেলে না। কিন্তু এই খাবার সময়টাতেই যদি কিছু ব্যাপার মেনে চলেন, তাহলে খুব সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। জেনে নিন উপায়গুলো।
খাওয়ার আগে পানি পান : পানি গ্রহণ তৃষ্ণা দূর করে, মেটাবোলিজম বাড়িয়ে খাবার হজমে সাহায্য করে, যে কোনো খাবারকে তৃপ্তিকর করে তোলে এবং সেই সাথে ক্ষুধা নিবারণ করে। তাই খাবার গ্রহণের ১০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে ক্ষুধার পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে এবং কম খাবারেই পেট ভরে যাবে। আবার খাবার হজম হবে দ্রুত। ফলে বাড়তি ক্যালরি আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না। খাবার খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পর পানি পান করুন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
লেবু পানি পান করুন : লেবুতে রয়েছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড, যা চর্বি কাটাতে সাহায্য করে। তাই অতিভোজন করে ফেললে বা তেল-চর্বিওয়ালা খাবার খেলে, খাওয়ার পর একটি পুরো লেবুর রস এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। এটা প্রতিদিনও খেতে পারেন। যে বেলায় সবচেয়ে ভারী খাবার খাবেন সেই বেলাতেই লেবু পানি খান। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটা বেশ সহায়ক।
খাবার ধীরে খান : বেশি খাবার মানেই অতিরিক্ত ওজন। কম খাবারে পেট ভরাতে পারলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। খাবার তাড়াহুড়া করে খাবেন না। আস্তে আস্তে চিবিয়ে ধীরেসুস্থে খাবার গ্রহণ করুন। ধীরে ধীরে খাবার গ্রহণ করলে ব্রেন স্টিমুলেট হয় ভালোভাবে। খাদ্যগ্রহণে তৃপ্তিভাব বজায় থাকে। ফলে অল্প খাদ্য গ্রহণেই পেট ভরে যায়।
খাবারে বেশি পরিমাণে শাকসবজি গ্রহণ করুন : শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল। তাই এ ধরনের খাবার দেহকে সুস্থ ও নীরোগ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শাকসবজিতে ক্যালরি থাকে খুবই কম কিন্তু খাদ্যআঁশ থাকে প্রচুর পরিমাণে। তাই এসব খাবারে পেট ভরে যায় কোনোরকম ক্যালরি ছাড়াই। প্রতিবেলার খাবারে শাকসবজি রাখুন। তাহলে পেট ভরে খেয়েও ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
গ্রিন টি পান করুন : ওজন কমানোর গুণের কারণে গ্রিন টি বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয় । প্রতিবেলা খাবার পর এক কাপ গ্রিন টি পান করুন। একদিনে সর্বোচ্চ পাঁচ কাপ গ্রিন টি পান করা যেতে পারে। গ্রিন টি দেহের মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি বার্ন করে, ফলে ওজন কমে যায়। গ্রিন টি দিনে ৭০ ক্যালরি পর্যন্ত বার্ন করে যা ২০ মিনিট হাঁটার সমান! এছাড়া গ্রিন টি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ফ্যাট সেলগুলোতে গ্লুকোজ ঢোকা বন্ধ করে দেয়। ফলে মেদ বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। ওজন কমাতে তাই গ্রিন টি পান খুবই সহায়ক। প্রতিবেলা খাবার পর গ্রিন টি পান করলে সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
মন্তব্য করুন