সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের পোস্ট সুরু করতেছি। আশা করি সবাই ভাল আছেন। যাহক কাজের কথায় আসি।
দাঁত ব্রাশের একটি প্রধান কারণ হচ্ছে ক্ষয় রোধ করা। তবে শুধু ব্রাশ করলেই চলবে না। এর কিছু সঠিক পদ্ধতি রয়েছে, যা মেনে না চললে মাড়ি এবং দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া বেশির ভাগ লোকই ব্রাশের জন্য বেশি সময় ব্যয় করে না।
শুধুমাত্র ক্যাভেটিস এর বিরুদ্ধে লড়াই করাই দাত ব্রাশ করার মুখ্য উদ্যেশ্য নয়। বরং মুখের দুর্গন্ধ রোধ, দাঁতের হলদে ভাব দূর করে প্রাণবন্ত হাসি, ও দাঁতের সুস্থতা রক্ষাও এর উদ্দ্যেশ্য। দাঁতকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে হলে সঠিক ভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। আর দাঁত ব্রাশ করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে কম-বেশি আমারা সকলেই জানি তাই আজ আর এ বিষয়ে কোনো কথা বলবো না। আজ আমরা যে বিষয় নিয়ে কথা বলবো তা হচ্ছে, দাঁত ব্রাশ করার সময় আমরা সাধারণত যে সকল ভুল করে থাকি।
# অধিকাংশ মানুষই দাঁত মার্জন করতে বেশি সময় ব্যয় করে না। ডেন্টিস্ট দুই বা তিন মিনিট সময় ধরে দাঁত মার্জন করার সুপারিশ করে থাকেন। কিন্তু অনেকেই এটা করে না। পরবর্তী সময় যখন দাঁত ব্রাশ করবেন তখন ঘড়ি ধরে দাঁত ব্রাশ করুন। সকালে খাওয়ার পর এবং অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে অন্তত ২মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করুন।
# আমরা অনেকেই এলোপাতাড়ি দাঁত ব্রাশ করি বা বুঝি না কীভাবে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করতে হয়। এর ফলে দাঁত নাজুক ও দুর্বল হয়ে পড়ে। ব্রাশের ব্রিসলকে ৪৫ ডিগ্রি করে ঘুরিয়ে ব্রাশ করতে হবে। ওপরের দাঁত পরিষ্কার করার সময় ব্রাশটি নিচের দিকে টানতে হবে, আর নিচের পাটি পরিষ্কারের সময় ওপরের দিকে টানতে হবে। সামনের অংশের পর ভেতরের অংশও ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
# সঠিক উপায়ে ব্রাশ না করা : অনেকেই এলোপাতাড়ি দাঁত ব্রাশ করে কিন্তু সঠিক উপায় জানেন না। শুধুমাত্র সামনের পাটির কটি দাঁত ব্রাশ করেই কুলকুচা করে ফেলেন। দাঁত ব্রাশ করার সময় পাশাপাশি এবং উপরে নিচে সব দিকেই ব্রাশ করতে হবে। প্রতিবার ব্রাশ করার পর জিভ ও মাড়িও পরিষ্কার করতে হয়।
# শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এটাই সত্যি যে ট্রুথব্রাশই হতে পারে জীবাণুর স্বর্গ। এ কারণেই দীর্ঘদিন একই ব্রাশ ব্যবহার করা ঠিক নয়। কেননা ব্রিসলের মধ্যে ব্যকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। এর ব্যবহারে দাঁতের ক্ষতি হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, তিন মাস পরপর টুথব্রাশ বদলে ফেলুন। এ ছাড়া ব্রাশ ব্যবহারের পর একে গরম পানি দিয়ে ধুতে হবে এবং শুষ্ক রাখার চেষ্টা করতে হবে।
# বেকিং সোডা আছে এমন টুথপেস্ট ব্যবহারে দাঁতের দাগ দূর হয়, তবে এটি কখনো কখনো এনামেলের জন্য ভালো নাও হতে পারে। তাই গবেষকদের মতে, দাঁত উজ্বল করবে এমন টুথপেস্ট কেনার আগে জেনে নিন এটি দাঁতের জন্য ভালো হবে কি না।
# তাড়াহুড়া করা অথবা অতিরিক্ত ব্রাশ করার সময় তাড়াহুড়া করা যাবে না। দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকা খাদ্য কণা সঠিক উপায়ে আস্তে ধীরে পরিষ্কার করতে হবে। জোরে এবং অতিরিক্ত ব্রাশ করলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
# দাঁত ব্রাশের পর অনেকেই তাড়াহুড়ো করে কুলি করেন। ফলে মুখের ব্যাকটেরিয়া মুখেই থেকে যায়। তাই ব্রাশের পর ভালোভাবে পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে বা অ্যালকোহল নেই এমন মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
মন্তব্য করুন