১। লেবু বর্গের ফল
বেশীরভাগ মানুষ ঠাণ্ডা লাগার পরে ভিটামিন সি গ্রহণ করে। কিন্তু আপনি কি জানেন এটা খাদ্য তালিকার শীর্ষে আছে যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে ১০০% ধাবিত করে? মনে করা হয় ভিটামিন সি শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার চাবি হল শ্বেত রক্ত কণিকা। কারণ আপনার শরীর এটা উৎপাদন বা সংরক্ষণ করেনা। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন ভিটামিন সি গ্রহণ করা প্রয়োজন। বেশীরভাগ লেবু বর্গের ফলই উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
২। রসুন
রসুনে এলিসিন নামের উপাদান থাকে যা অরগানোসালফারে রূপান্তরিত হয়। এই যৌগটি কোষীয় বিধ্বংসী প্রক্রিয়া থেকে কোষকে রক্ষা করে যা ক্রনিক রোগ সৃষ্টির প্রধান কারণ। রসুন প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিক, তাই রসুন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে, ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং ঠান্ডা প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, বয়সের সাথে সম্পর্কিত ক্রনিক অসুখ যেমন-অথেরোস্ক্লেরোসিস, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ইমিউন ডিজঅর্ডার, ব্রেইন এজিং, চোখের ছানি এবং আরথ্রাইটিস ইত্যাদি কমাতে বা প্রতিরোধ করতে পারে রসুন।
৩। ওটস ও বার্লি
নরওয়ের একটি গবেষণা রিপোর্টে পাওয়া যায় যে, এই শস্য গুলো বিটা গ্লুকেন নামক ফাইবার সমৃদ্ধ যাতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ও আরো শক্তিশালী এচিনাসিয়া থাকে। যখন এগুলো অর্থাৎ ওটস ও বার্লি পশুরা খায় তাঁদের ইনফ্লুয়েঞ্জা, হারপিস এমনকি অ্যানথ্রাক্স হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। মানুষের ক্ষেত্রে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে, ক্ষত দ্রুত শোকায় এবং এন্টিবায়োটিকের কাজে সাহায্য করে। তাই দিনে অন্তত ১ বার এগুলো গ্রহণ করুন।
৪। টম্যাটো
টম্যাটোতে উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ইমিউন সিস্টেমকে সহায়তা করে। টম্যাটোতে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে এবং কাঁচা বা রান্না করা টম্যাটো খুবই মজাদার।
৫। পালংশাক
ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে পালংশাক এবং এতে রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার খনিজ উপাদান জিঙ্ক থাকে। পালংশাকে ভিটামিন সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ইনফেকশন ও ঠান্ডাকে প্রতিহত করে।
এছাড়াও আরো অনেক খাবার আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে যেমন- বীট, ব্রোকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, কলমি শাক, পেঁয়াজ, গাজর, মাশরুম, মিষ্টি আলু, কলা, ছোলা, বাদাম, শিমের বীচি ইত্যাদি।
মন্তব্য করুন