স্মার্টফোন ছাড়া আধুনিক জীবনযাত্রা আজকাল আর ভাবাই যাচ্ছে না। স্মার্টফোন থাকলেই দুনিয়াটা যেন হাতের মুঠোয় চলে আসে। কিন্তু গাড়িতে উঠলেই স্টিয়ারিং-এর দিকে
মনোযোগ দিতে হয়। সঙ্গের ফোনটি বড়জোর ড্যাশবোর্ডের উপর হোল্ডারে রাখা যায়। ব্লু-টুথ-এর মাধ্যমে ফোন করাও চলে। কিন্তু গাড়ি চালাতে চালাতে এর বেশি কিছু করা কঠিন এবং বিপজ্জনক।
তাই গাড়ি তৈরির সময়ই এই স্মার্টফোন প্রযুক্তিকে আরও বেশি সমন্বয়ের কাজ এবার শুরু হয়ে গেছে। ছোট আকারের সস্তার গাড়ির মধ্যে বসানো বড় পর্দায় স্মার্টফোনের গুণাগুণ ঢোকানোর কাজ চলছে৷ বিশেষ করে ইউরোপে গাড়ি বিক্রি কমে চলায় নতুন এই চমকের উপর ভরসা করছে অনেক গাড়ি নির্মাতা। বেশি দামি গাড়িতে এমন প্রযুক্তির প্রয়োগ আগেই শুরু হয়ে গেছে। এবার সাধারণ গাড়িতেও তা কাজে লাগানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
এই প্রবণতার মূলমন্ত্র হচ্ছে গাড়ির মধ্যে স্মার্টফোনের গুণাগুণের আরও ইন্টিগ্রেশন৷ অর্থাৎ আপনার স্মার্টফোনে যে গানের ফাইল ভরা রয়েছে, সহজেই তা গাড়ির স্পিকারে বাজানো যাবে। ফোনের জিপিএস ন্যাভিগেশন অ্যাপ-ও দেখা যাবে গাড়ির পর্দায়। কাউকে টেলিফোন করতে হলে নাম বললেই হলো। গাড়ির পর্দায়ই তার নাম ফুটে উঠবে। তারপর সহজেই তার সঙ্গে কথা বলা যাবে। মোটকথা স্মার্টফোনের সঙ্গে গাড়ির সংলাপ আরও পাকাপোক্ত হবে৷
তবে সব গাড়িতে সব স্মার্টফোনের ইন্টিগ্রেশন হবে, এমনটা কিন্তু সব ক্ষেত্রে ঘটছে না। যেমন এপেল কোম্পানি কার-প্লে প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশেষ কয়েকটি ব্র্যান্ডের গাড়িতে আইফোনের একটি গুণ যোগ করতে চলেছে। ব্যক্তিগত সহকারী সিরি তখন গাড়িতেও সরাসরি ব্যবহার করা যাবে। নোকিয়াও কিছু গাড়ি নির্মাতার সঙ্গে জোট বেঁধে ম্যাপ ও ন্যাভিগেশন সহ তাদের হিয়ার প্রযুক্তি সরাসরি গাড়িতেই ব্যবহারের পথ খুলে দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন