২০১৪ সালে প্রযুক্তির দুনিয়া বেশ এগিয়ে গেছে। এ বছর আইফোনের নতুন দুটি মডেল যেমন তোলপাড় করেছে, তেমন অন্যান্য জায়ান্টরাও বহু বড় অর্জনের নিশানা রেখেছে। তবে শুধু সফলতাই নয়, বেশ কিছু পণ্য বড় ধরনের ব্যর্থতাও দেখেছে। দেখে নিন এমনই কিছু পণ্যের কথা।
১. এরিও : এর মাধ্যমে ক্রেতারা বিভিন্ন ব্রডকাস্টার থেকে বড় বড় শো দেখতে পারবেন। কিন্তু মাসে দিতে হবে ৮-১২ ডলার করে। দারুণ একটি জিনিস হলেও ব্রডকাস্টারদের অনুষ্ঠান চুরি করা হয় এটি দিয়ে। আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি এবং পাঁচ মাসের মধ্যে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
২. ব্ল্যাকবেরি পাসপোর্ট : উন্নত স্পেসিফিকেশনসহ মোবাইলটি বাজারে আসলেও জনপ্রিয়তা পায়নি পণ্যটি। চারকোণা নকশার ছোট আকারের ফোনটি বড়গুলোর মাঝে হারিয়ে গেছে।
৩. অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার : স্মার্টওয়াচের জনপ্রিয়তা বাড়ছিল। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, জটিল এবং বহু সীমাবদ্ধতার অপারেটিং সিস্টেমের গুগল এই পণ্যটি কিনতে হবে। আসুস, সনি, এলজি, স্যামসাংয়ের বহু ভালো ভালো স্মার্টওয়াচ রয়েছে।
৪. ট্যাবলেট ক্রাশ : যে বাজার ২০১৪ সালে ৭.২ শতাংশ দখল করে, তা কিভাবে ব্যর্থ হয়? ২০১২-২০১৩ সময়ের মধ্যে ট্যাবের বাজার ৫২.৫ শতাংশ দখল করেছিল। কিন্তু ফ্যাবলেট এসে এই বাজার দখল দেয়। অ্যাপলের আইপ্যাড এ বছর ১৩ শতাংশ কম ট্যাব শিপমেন্ট করেছে।
৫. সনি প্লেস্টেশন টিভি : প্লেস্টেশনের নামে টেলিভিশন বানিয়ে ধরা খেয়েছে সনি। এই টিভিতে বিনোদন অপেক্ষা গেমসের বিষয়টিই বেশি কাজ করে বলে মনে হয়। তা ছাড়া এই টিভিতে গেমসের গুণগত মানও ভালো নয়। এ ছাড়া এই টিভিতে ১০৮০পি রেজ্যুলেশনও কাজ করে না। তাই ব্যর্থতার চেহারা দেখতে হয়েছে।
৬. অ্যাপলের আইক্লাউড : সেলিব্রিটিদের নগ্ন ছবি হ্যাক হওয়ার কারণে আইক্লাউডের নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল বলে প্রতীয়মান হয়। তাই এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন অনেকে।
৭. মাইক্রোসফট কাইনেক্ট ২.০ : এই যন্ত্রটি গ্রহণ করেননি গেমাররা। এর কনসোলটি পছন্দ হয়নি গেমারদের। তারা কনসোলের নানা সমস্যা মোকাবিলার চেয়ে অনায়াসে গেম খেলতেই বেশি পছন্দ করেন।
৮. গুগল গ্লাস : এ বছরই গুগল গ্লাস বিশ্ব বাজারে ছড়িয়ে যায়। কিন্তু গুগলের পরিকল্পনা ছিল একে কর্মক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেওয়া। কিন্তু কেউ গ্রহণ করেননি এটি।
৯. সফট কার্ড : জঙ্গিগোষ্ঠীর নামের সঙ্গে মিলে গেছে প্রতিষ্ঠানটির নাম। তাই বোধহয় কপাল খারাপ তাদের। আইএসআইএস তাই গত সেপ্টেম্বরে তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনে বাধ্য হয়। তাদের মোবাইল পেমেন্ট সার্ভিস সফটকার্ড ধরা খেয়ে যায় বাজারে। এটি আইফোন বা অ্যাপল পে এর মতো নয়। ক্যারিয়ারের কাছ থেকে বিশেষ সিম নিয়ে প্রায় ২ লাখ স্থানে এর মাধ্যমে যেকোনো পেমেন্ট দেওয়া যেতো।
১০. আমাজন ফায়ার ফোন : প্রযুক্তিতে বেশ কিছু ভেলকি দেখিয়েছে আমাজন। কিন্তু আমাজনের ফায়ার ফোনটি বাজারে মোটেও হিট করতে পারেনি। ব্যর্থতা দেখেছে এর বাজার।
মন্তব্য করুন