ওয়ালটন প্রিমো জি.এম.৩ প্লাস, মোবাইলের পাওয়ার হাউজ বলতে যা বুঝায় তার সব-ই এ আছে এই ডিভাইসটিতে। জনপ্রিয় এই সিরিজটির ধারাবাহিক সাফল্যের পর আবারো ওয়ালটন নিয়ে আসলো এই সিরিজের আপডেটেড ভার্সন ওয়ালটন প্রিমো জি.এম.৩+ (৩ জিবি)।
৪জি সাপোর্টেড ডিভাইসটিতে আরো রয়েছে ৪০০০ মিলি এ্যম্পিয়ার ব্যাটারি, ফুল ভিউ ডিসপ্লে, ২.৫ডি কার্ভড গ্লাস, ৩ জিবি র্যাম, ১৬ জিবি রম, ক্যামেরা রয়েছে যথাক্রমে ১৩ এবং ৫ মেগাপিক্সেল, ও.টি.জি সুবিধা সহ আরো অনেক কিছু। আশা করি আমার রিভিউ এর পুরোটো সময় জুরে আমার সাথে আপনাদের সময়টা ভালো কাটবে।
একনজরে প্রিমো জিএম৩+ (৩জিবি র্যাম) ডিভাইসটিঃ
- ৪জি সাপোর্ট
- এন্ড্রয়েড ৮.১ অরিও অপারেটিং সিস্টেম
- ৫.৩৪” ১৮:৯ রেশিও সম্পন্ন ফুল ভিউ আই.পি.এস ডিসপ্লে
- PowerVR Rouge GE8100 জিপিইউ
- ১.৩ গিগাহার্টজ কোয়াড কোর প্রসেসর
- ৩জিবি র্যাম, ১৬ জিবি রম
- ১৩ মেগাপিক্সেল রিয়ার এবং ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা
- ৪,০০০ এম.এ.এইচ ব্যাটারি
আনবক্সিং
ওয়ালটন প্রিমো জি.এম.৩+ (৩ জিবি) এর সাথে আপনারা পাচ্ছেন
- ইউ. এস বি চার্যার উইথ ডাটা কেবল
- স্ট্যান্ডার্ড ইয়ার ফোন
- সিম ইজেক্টর
- ব্যাক কভার
- ওয়্যারেন্টি কার্ড+সেফটি ইন্সট্রাকশন
- স্ক্রিন প্রোটেক্টর


হার্ডওয়্যার
ডিভাইসটিতে আছে ১.৩ গিগাহার্টজ কোয়াড কোর প্রসেসর। সাথে আরো রয়েছে ৩ জিবি ডি.ডি.আর ৩ র্যাম। ইন্টারনাল মেমোরী থাকছে ১৬ জিবি, এর মধ্যে ১০ জিবি স্পেস ফ্রি থাকবে ব্যবহার করার জন্য। চাইলে ৬৪ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনাল মেমোরী বাড়াতে পারবেন।



বেঞ্চমার্ক


ডিসপ্লে এবং টাচ
ওয়ালটন প্রিমো জি.এম.৩+ (৩ জিবি) তে রয়েছে ৫.৩৪” ফুল ভিউ আই.পি.এস ডিসপ্লে । টাচ বেশ রেছপন্ছিভ এবং ল্যাগ ফ্রি। তবে মাল্টি ফিংগার টাচ সুবিধা পাবেন সর্বোচ্চ ২ আংগুলের।



গেমিং পারফরমেন্স
ওয়ালটন প্রিমো জি.এম.৩+ (৩ জিবি) এর গেমিং পারফরমেন্স দাম অনুসারে বেটার লেগেছে আমার কাছে। এসফাল্ট ৮, ফিফা ১৪,১৫, এসফাল্ট নাইট্রা এই গেমস গুলো ১৮:৯ রেশিও-তে খেলে দারুন মজা পাবেন।
আউটলুক
বাংলাদেশেও ভালো মানের স্মার্টফোন তৈরী করা সম্ভব এটা প্রমান করে দেখিয়েছে ওয়ালটন। মেটালিক ফ্রেমে তৈরী ওয়ালটন প্রিমো জি.এম.৩+ (৩ জিবি) এর আউটলুক বেশ গর্জিয়াস। ডিভাইসটির ব্যাকপার্ট-টি সম্পূর্ণ এ্যলুমিনিয়াম এ্যালয়। ফলে ডিভাইসটির ডিউর্যাবিলিটি বেশ মজবুত।


ডিভাইসটির পেছনে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ফ্রন্ট প্যানেলে রয়েছে ফ্ল্যাশ লাইট সহ ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
ফিংগার প্রিন্ট সেন্সর রয়েছে ডিভাইসটির পেছনের দিকে।


ডিভাইসটির দৈর্ঘ্য ১৪৪.৭ মিলিমিটার, প্রস্থ্য ৭০ মিলিমিটার এবং পূরুত্ব ৯.৬৫ মিলিমিটার। আর ডিভাইসটির ওজন ১৮০ গ্রাম। মাত্র। ডিভাইসটির ওজন একটু তুলনামুলক একটু বেশি লেগেছে আমার কাছে।


ইউজার ইন্টারফেস
ওয়ালটন প্রিমো জি.এম.৩+ (৩ জিবি) এ ইউজ করা হয়েছে এ্যন্ড্রয়েড ৮.১ স্টক ইউজার ইন্টারফেস।
অপারেটিং সিস্টেম
ওয়ালটন প্রিমো জি.এম.৩+ (৩ জিবি) এ ইউজ করা হয়েছে লেটেস্ট এ্যন্ড্রয়েড ৮.১ অরিও অপারেটিং সিস্টেম।


ক্যামেরা
ওয়ালটন প্রিমো জি.এম.৩+ (৩ জিবি) এর ক্যামেরা কোয়ালিটি নিয়ে আমি কিন্তু বেশ সন্তুষ্ট। রিয়্যার প্যানেলের ১৩ মেগাপিক্সেল এবং ফ্রন্ট প্যানেলের ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ইউজ করা হয়েছে।


ক্যামেরার ইউজার ইন্টারফেস নিম্নরুপ:


কানেক্টিভিটি এবং সেন্সর
ওয়ালটন প্রিমো জি.এম.৩+ (৩ জিবি) এ যে সকল সেন্সর রয়েছে তা হলো: এ্যকসেলোমিটিার ৩ডি, প্রক্সিমিটি সেন্সর, জি.পি.এস
ওয়ালটন প্রিমো জি.এম.৩+ (৩ জিবি) এ যে সকল কানেক্টিভিটি রয়েছে:
ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ভার্সন ৪, ও .টি.এ, ও.টি.জি, ডব্লিউ ল্যান হটস্পট, স্ক্রিন কাস্ট ইত্যাদি।


ব্যাটারি


দাম
ওয়ালটন প্রিমো জি.এম.৩+ (৩ জিবি) এর বাজার মূল্য রাখা হয়েছে ৮,৫৯৯ টাকা।
পুরো রিভিউ জুড়ে আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি আমার এই রিভিউ-টি আপনার স্মার্টফোন কেনার ব্যপারে সহায়ক হবে।
মন্তব্য
আপনার সুন্দন পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ । তবে ফোনটির দাম আরও কিছুটা কম হলে ভালো হত ।