ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে ২৩৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। এই অর্থে আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে ৫জি নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন করতে চায় অপারেটরটি। সূত্রমতে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গণভবনসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সরকারি গূরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ, মোহাম্মদপুর, শের-ই বাংলা নগর, বনানী, গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট ও উত্তরা থানা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বঙ্গভবন ও সচিবালয়সহ মতিঝিল, রমনা, শাহবাগ ও ধানমন্ডি থানার সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ও বাণিজ্যিক স্থাপনা ৫জি নেটওয়ার্কের অধীনে আসবে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম সচিব (পরিকল্পনা) মো. মুসলেহ উদ্দিন রবিবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সরকারঘোষিত লক্ষ্য অনুসারে ২০২১-২৩ সালের মধ্যে ফাইভ-জি প্রযুক্তিনির্ভর মোবাইলসেবা প্রদান করার প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটনের কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করা হবে। এর মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ফাইভ-জি প্রযুক্তি বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য মোবাইল অপারেটরদের ফাইভ-জি সেবা চালুকরণে উৎসাহিত করা হবে।
প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ঢাকা শহরে টেলিটকের বিদ্যমান ২০০টি ফাইভ-জি বিটিএস সাইটে ফাইভ-জি প্রযুক্তিনির্ভর টেলিকম যন্ত্র সংযোজন, টাওয়ার ও কক্ষ অবকাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার, বিদ্যুৎ সংযোগের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, রেকটিফায়ার ও ব্যাটারি ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিকরণ, নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেটর হতে ভাড়াভিত্তিতে প্রস্তাবিত ২০০টি ফাইভ-জি সাইটে উচ্চগতির লাস্টমাইল ট্রান্সমিশন সংযোজন, ৫০টি সাইটে মাইক্রোওয়েভ রেডিও যন্ত্রাংস স্থাপন এবং এক লাখ গ্রাহক ক্ষমতাসম্পন্ন আইএসএম প্ল্যাটফর্ম স্থাপন এবং বিদ্যমান কোর নেটওয়ার্ক সিস্টেমের প্রয়োজনীয় আপগ্রেডেশন ও সম্প্রসারণ করা হবে।
মন্তব্য করুন