কেমন আছেন সবাই? আসাকরি ভালোই আছেন। আমি আপনাদের জন্য দারুন একটি টিপস শেয়ার করছি। ফেসবুক একটি সৌশাল নেটওয়ার্ক। এই সৌশাল নেটওয়ার্কে আমরা অনেক ধরনের ব্যাক্তিগত ব্যাপার শেয়ার করি। কিছু জিনিসি আছে যা ফেসবুকে শেয়ার করলে অনেক ধরনের বিপদ হতে পারে। আমি সেই সকল জিনিসগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। এই লেখাটি পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল ব্লগ৭১ সাইটে।
১. ফোন নম্বর :
বাড়ি অথবা ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ফেসবুক পেজে দেওয়া মানে প্রাঙ্ক কলার, স্টকার, স্ক্যামার এবং আইডেন্টিটি চোররা এ তথ্য চুরি করে নানা অঘটন ঘটাতে পারেন। এ ছাড়া আপনার ফোন নম্বর দিয়ে সার্চ করেও যেকেউ পেজ বের করতে পারবেন। নিরাপত্তা বিষয়ক এক্সপার্ট রেজা মোয়াইনদিন জানান, যে সব সোশাল মিডিয়ার নিরাপত্তাব্যবস্থা খুব ভালো নয়, সে সব জায়গা থেকে মোবাইল নম্বর খুব সহজে চুরি হতে পারে।
২. বাড়ির ঠিকানা : সম্প্রতি ছুটি কাটাতে কোথায় গেছেন সে ছবিটি পর্যন্ত বিপদ ডেকে আনতে পারে। সেখানে বাড়ির ঠিকানা দেওয়াটা চরম বোকামির সামিল। ‘কন্টাক্ট অ্যান্ড বেসিক ইনফো’ অংশে এ তথ্য দিয়ে থাকলে তা সরিয়ে ফেলুন। একে ‘এডিট’ করে ‘সেভ চেঞ্জেস’ ক্লিক করুন।
৩. পেশা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য :
আপনি কি কাজ করেন না কোথায় করে ইত্যাদি তথ্য ফেসবুকে দেবেন না। আপনার অফিস বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরিজীবী খুঁজতে গিয়ে আপনার এমন কোনো তথ্য বা ছবি পেতে পারেন যা হয়তো তাদের পছন্দ হবে না। এগুলো পেশাজীবনে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদি তথ্য দিয়েই থাকেন তবে ফেসবুকের টাইমলাইন টুলস ব্যবহার করে স্ক্যান দিন। আপনার আগের পোস্টগুলো দেখতে পারবেন। সেখানে পেশাগত কোনো তথ্য থাকলে তা সরিয়ে ফেলুন।
৪. সম্পর্কের স্ট্যাটাস : সম্পর্ক জীবনের ব্যক্তিগত বিষয়। এগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়ার স্থানা ফেসবুক নয়। এতে ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে নানা টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। এগুলো নিয়ে যে কেউ নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারেন। তাই সম্পর্ক নিয়ে অহরহ স্ট্যাটাস দেবেন না।
৫. অর্থ সংক্রান্ত কোনো তথ্য : ফেসবুক বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এখানে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর বা ক্রেডিট কার্ড নম্বর ইত্যাদি দিতে যাবেন না। হ্যাকারদের পাল্লায় পড়লে সর্বনাশ হয়ে যাবে। একবার এ সব তথ্য বাড়ির কম্পিউটারে বসে ব্যবহার করলেও অন্য কেউ ওই কম্পিউটারে বসেই তা ব্যবহার করে আরো অর্থ খরচ করতে পারেন।
সময় পেলে ঘুরে আসতে পরেন ব্লগ একাত্তর সাইট থেকে।
মন্তব্য করুন