আপনি ডোমেইন সরাসরি রেজিস্ট্রার থেকে কিনুন বা বাংলাদেশী কোন রিসেলারের কাছ থেকে কিনুন, কেনার পূর্বে অবশ্যই আরও কিছু বিষয়ে জেনে নিবেন। আমি সংক্ষেপে পয়েন্ট আকারে লিখছি।
১. ডোমেইনের ফুল কন্ট্রোল প্যানেল আপনাকে দিবে কিনা তা জেনে নিন। যেমনঃ ডোমেইন এর ফুল কন্ট্রোল দেয়।
২. যদি কখনও ডোমেইন ট্রান্সফার করতে হয় সেক্ষেত্রে আপনি সরাসরি ট্রান্সফার করতে পারবেন কিনা। নাকি তাদের কাছে আসতে হবে। যদি আপনি সরাসরি ট্রান্সফার করতে না পারেন তাহলে ডোমেইন কেনার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
৩. ডোমেইন ট্রান্সফার আউট করলে তাদের কোন চার্জ দিতে হবে কিনা। এক্ষেত্রে কোন চার্জ লাগে না।
৪. ডোমেইন লক অপশন রয়েছে কিনা তা জেনে নিন।
৫. ডোমেইন ট্রান্সফার অথেনটিকেশন কোড সরাসরি আপনি কন্ট্রোল প্যানেল থেকে নিতে পারবেন কিনা তা জেনে নিন। যদি কোড তাদের কাছে থাকে তাহলে তাদের ইগনোর করুন।
৬. ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের সময় অবশ্যই সতর্ক থাকুন ডোমেইনে ব্যবহৃত সকল তথ্য আপনার কিনা।
৭. বিভিন্ন চটকদার অফারে বিভ্রান্ত না হয়ে ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে তারপর ডোমেইন নিবন্ধন করুন।
হোস্টিং নির্বাচনের আগে পূর্বে বিবেচ্য বিষয়
১। কম দামের হোস্টিং এড়িয়ে চলুন: বাংলায় একটা প্রবাদ আছে- “যত গুড় তত মিষ্টি” সুতরাং কম দামের হোস্টিং এ সাপোর্ট কম পাবেন, বেশি দামেরটায় বেশি সাপোর্ট পাবেন এটাই স্বাভাবিক। কিছুটাকা বাঁচানোর জন্য এমন মানের হোস্টিং নেওয়া উচিত হবে না যেটা আপনাকে সারা বছর ভুগাবে। ফেসবুকের কল্যানে এখন অনেকেরই স্ট্যাটাস পাওয়া যায় ১০ জিবি হোস্টিং মাত্র ৫০০ টাকায়! দয়া করে এদের এড়িয়ে যাবেন।
২। স্পেস ও বেন্ডউইথ দেখে নিন: যার কাছ থেকে হোস্টিং নিচ্ছেন তার তাছ থেকে ভাল ভাবে আপনার সার্ভারের স্পেস ও ব্যান্ডউইথ বুঝে নিন। সি-পেনেলে ঢুকে চেক করে দেখুন আসলেই কি আপনাকে আপনার কথামতন স্পেস ও ব্যান্ডউইথ দিয়েছে কিনা।
৩। কাস্টমার সাপোর্ট: হোস্টিং কেনার আগে সাপোর্টে ফোন, মেইল বা লাইভে চ্যেট করে দেখুন তারা লাইভ সাপোর্ট কেমন দেয়। আপনার সার্ভার যদি কখনো ডাউন হয় আর যদি তা জানাতে এবং উত্তর পেতে কয়েক দিন লেগে যায় তাহলে লক্ষ ভিজিটর হারাতে পারেন। আর যদি আপনি রিসেলার ক্লাইন্ট হোন তবে তো মহা বিপদে পড়বেন। আপনার ক্লাইন্টকে কোন উত্তর দেয়ার মতো কিছু থাকবে না। তাই তাদের সাথে আপনার যোগাযোগের বেপারটা দেখ নিন।
৪। প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক অবস্থা : আপনার ওয়েবসাইট যে প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে রাখবেন তার ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নিন। আনলাইনে সার্চ দিলে কোন হোস্টিং কোম্পানী সম্পর্কে অনেক তথ্যই বেরিয়ে আসবে। বিভিন্ন ফোরাম পোস্টগুলো দেখতে পারেন। একটি বড় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে হোস্টিং কেনাটাই বেশি ভাল।
৫। বাধ্যবাধকতা : হোস্টিং প্লানগুলোর মধ্যে কোন লিমিটেশন থাকলে সেটা অনেক সময় ভালভাবে উল্লেখ করা থাকে না। তাই প্লানগুলোর তুলনা করে আপনার চাহিদার সাথে বেপারগুলো মিলে কিনা তা দেখে নিন। আপনি যদি এএসপি ডট নেটে সাইট বানাতে চান আর যদি লিনাক্স হোস্টিং বানাতে চান তাহলে তো চলবে না। এ জন্য প্রয়োজন হবে উইনডোজ প্লান। তাই জেনে নিন কি কি লিমিটেশন থাকবে আপনার সার্ভারে।
৬। ই-মেইল ফিচার ও ডোমেইন ফিচার : আপনি কতটা ই-মেইল সেটআপ করতে পারবেন এবং কতটা ডোমেইন/সাব-ডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন তা অবশ্যই জেনে নিবেন। আপনার আজ হয়তো একটি ওয়েব সাইট দরকার হলো কাল আরেকটা লাগতেই পারে তাই যে সব প্ল্যান একটি মাত্র ডোমেইন হোস্ট করতে দেয় সেই প্ল্যান না কেনাই ভাল।
৭। কন্ট্রোল প্যানেল : আপনি যদি এফটিপি সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে অভ্যস্ত না হোন তবে সি প্যানেল বা ইউজার ইন্টারফেস কি দিবে তা জেনে নিন। আপনি হোস্টিং রিসেল করতে চাইলে একাধির ইউজার বানানো এবং তাদের জন্য রিসোর্স (স্পেস,ব্যান্ডউইথ) বরাদ্দের বেপারটি জেনে নিন।
৮। আপগ্রেড : একটা সময় আপনার বর্তমান প্লানটাকে একটু বাড়িয়ে নিতে হতে পারে, সেই সময় যদি সয়ংক্রিয়ভাবে তারা আপনার হোস্টিং আপগ্রেড করে দিতে পারে সেটা আপনার জন্য অনেক সুবিধাজনক হবে। সাধারনত ভাল মানের সকল সারভার কোম্পানী এরকম পদ্ধতি রেখে থাকে।
মন্তব্য
Vai apnar post ti porlam. kubei vlo lagaca.
apnar kace ekta questain cilo. apni adsence er jonno apply koracilan ai blog website er jonno? korla apnar website a adsence approved hoi ni kno?
please apnar kace jante cacci.
asola amio bloggin korte cacci.
Thank You
I have benefited a lot from your writing. Before that I didn’t know much. I hope you will help us win the war. Thanks